বর্তমানে ইউটিউব সবচাইতে বড়ো ভিডিও প্লাটফর্ম। ভিডিও ক্ৰিয়াটর দেড় সংখ্যাও এখানে অনেক। কিন্তু সমস্ত কর্মক্ষেত্র এর মতো এখানেও অনেক ক্যারিয়ার তৈরি করতে বা Youtube channel grow করতে প্রয়োজন সঠিক ভাবে কঠোর পরিশ্রম।
আপনি কতটা উপরে উঠতে পারবেন সেটা নির্ভর করছে আপনার পরিশ্রমের উপর। তবে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনাকে ফলো করতেই হবে। এখানে আমরা সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
৬ নম্বর এর টা অবশ্যই পড়বেন।
প্রথমত : বেছে নিতে হবে নির্দিষ্ট বিষয়
প্রথমে আপনাকে একটা বিষয় বেছে নিতে হবে যেটা নিয়ে আপনি কাজ করবেন। তারপর সেই বিষয়ের উপর একটু রিসার্চ করতে হবে। যাতে করে আপনি আপনার আইডিয়াকে আরো করে তুলতে পারেন ।
ধরে নিলাম আপনি একটা Tech Related চ্যানেল নিয়ে কাজ করছেন। এখন আপনাকে টেকনোলজির তথ্য বিশেষজ্ঞ হতে হবে। বিশেষজ্ঞ অর্থে প্রতিনিয়ত যেভাবে টেকনোলজি আপডেট হচ্ছে আপনাকে সেইসব খবরাখবর রাখতে হবে ।
কম্পিউটার, মোবাইল এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল গেজেট সাথে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে । বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা গেজেট এর মধ্যে ভালো খারাপ এর তথ্য জানতে হবে ।
তবে অবশ্যই আপনার ভালো লাগার বিষয় সাবজেক্ট হিসেবে বাছবেন। যেটাতে আপনি এক্সপার্ট বা আপনার খুব ভালো লাগে। তাহলে আপনি ভালোবেসে কাজ তা করতে পারবেন। হতাশা বা একঘেয়ামি আসার চান্স টা কম হয়।
দ্বিতীয়ত : ভিডিও কোয়ালিটি
আপনার বিষয় যাই হোক না কেন আপনাকে কোয়ালিটিফুল ভিডিও তৈরি করতে হবে। যে টপিকের উপর ভিডিও বানাবেন সেই ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে হবে। সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হতে হবে , যাতে করে মানুষের সাথে সাথে আপনার কথা ইউটিউবের রোবোটিকস ঠিকভাবে বুঝতে পারে ।
লো কোয়ালিটির সাউন্ড এর জন্য ভিডিওর এসইও Ranking একেবারে নিচের দিকে চলে যাবে । প্রয়োজন হলে ভিডিওতে একটা হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সংযুক্ত করবেন। এতে করে আপনার ভিডিওর প্রতি দর্শক এর মনোযোগ বেশি হবে ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রাথমিক ধারানা – Digital Marketing Concept Bangla
সাউন্ড এর সাথে সাথে আপনার ভিডিও কোয়ালিটি যেন ভালো হয়। একটা বেশি রেজুলেশন এর ভিডিও আপনার দর্শক এর কনটেন্ট বুঝতে সাহায্য করবে। গুগল বেশি রেজুলেশনের ভিডিও বেশি পছন্দ করে।
তৃতীয়ত: ভিডিওর থাম্বনেইল
ভিডিও -তে যে থাম্বনেইল ব্যবহার করবেন সেটা যেন কোয়ালিটির হয়। অবশ্যই এ থাম্বনেইল (Thumbnil) চোখে লাগার মতো লিখা এবং উপাদান ব্যবহার করবেন।
তবে যাই ব্যবহার করুন সমস্ত কিছু যেন আপনার ভিডিও এর কনটেন্ট এর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ হয়।
চতুর্থ: টাইটেল , ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগ এর সঠিক ব্যবহার
আপনাকে আপনার আপলোড করা ভিডিও এসইও (SEO- search engine optimization) করতে হবে।যাতে করে ইউটিউব খুব সহজে দর্শক দের প্রয়োজন মতো আপনার ভিডিও টি খুঁজে দিতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে এসইও কীভাবে করবেন। নিচে কিছু পয়েন্ট আকারে আলোচনা করলাম।
১. আপনি আপনার ভিডিওতে যে টাইটেল দেবেন সেই টাইটেলটা যেন আপনার ভিডিওর সাথে মিল থাকে।
২. আপনার ভিডিও এবং টাইটেল এর সাথে মিল রেখে একটু বড় করেই একটা ডেসক্রিপশন লিখবেন।মনে রাখবেন টাইটেল এবং ডেসক্রিপশনটা আপনাকে ইংরেজিতে লিখতে হবে। কারণ, আপনি যখন ভিডিও আপলোড দিবেন তখন ইউটিউবের রোবোটিকস আপনার ভিডিও পড়তে থাকে। ইউটিউবের রোবোটিকস যত সহজে আপনার ভিডিওটি বুঝতে পারবে আপনার ভিডিওর Ranking এর chance ততো বশি হবে।
৩. টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ট্যাগ এর বাব্যহার করতে হবে।
আপনার Youtube Channel Grow করার জন্য এই ট্যাগ কি এবং ট্যাগ কীভাবে দিবেন ?
ট্যাগ এর বিষয়টি সরল করে বলতে হলে বলতে হয় আপনার সাবজেক্ট কে টেক্সট আকারে প্রকাশ। অর্থাৎ আপনার ভিডিও এর মূল বিষয়বস্তু। এবং ওই বিষয়ববস্তু কে কত রকম ভাব এ প্রকাশ করা যায়। আর একটু অন্য ভাবে বললে আপনি যা দিযে গুগল বা ইউটুউব এ কোনো জিনিস সার্চ করেন সেটাই ট্যাগ (Tag) অথবা কি ওয়ার্ড (Keyword)।
ট্যাগ বা কিওয়ার্ড সার্চ করার অনেক নিয়ম আছে। তবে প্রাথমিক ভাবে বলতে হলে আপনার ভিডিওর সাবজেক্ট টা কপি করে Google এর সার্চবারে পেস্ট করবেন। তারপর যে রেজাল্ট আসবে সেটার একেবারে নিচে চলে যাবেন। দেখবেন যে গুগলের Suggested কিছু ট্যাগ আছে। ওগুলো কপি করে ভিডিওর ট্যাগ এর জায়গায় পেস্ট করে দিবেন ।
এছাড়া অনেক ফ্রী এবং পেইড তুলে আছে যেগুলো দিয়ে ট্যাগ বা কি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন। এর মধ্যে ইউটুবে এ জনপ্রিয় Vidiq এবং TubeBuddy।
পঞ্চমত : ভিডিও আপলোড ফ্রিকোয়েন্সি
আপনার ভিডিও পোস্ট এর ফ্রিকোয়েন্সি এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে । আপনাকে একটি নির্দিষ্ট দিনের বা সময়ের অন্তর ভিডিও পোস্ট করতে হবে। এই নির্দিষ্ট দিন বা সময় আপনি নিজে ঠিক করবেন।
উদাহরণ : যদি আপনি ভাবেন সপ্তাহে ১ টি ভিডিও রবিবার আপলোড করবেন। এই নিয়ম টাই আপনাকে মেনে চলতে হবে। একবার রবিবার একবার বুধবার – একবার সপ্তাহে ৩ টি ভিডিও একবার সপ্তাহে ১ টি ভিডিও আপলোড -এরকম করলে রাঙ্কিং ডাউন হয়ে যাবে।
ষষ্ঠতম: মানসিক প্রস্তুতি
আপনাকে টাকার দিক থেকে নজর সরাতে হবে। তা নাহলে আপনি ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন। ছোট হোক বা বড় সমস্ত চ্যানেল কেই সর্বদা কোয়ালিটি কনটেন্ট এর উপর ফোকাস রাখতে হবে ।
উপরের পরামর্শ গুলি ঠিক ভাবে মেনে চললে আপনার চ্যানেল এ ৬ মাসের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
তাই উপরের টিপস গুলো শুধুমাত্র জানলেই হবে না। মেনে চুলুন এবং grow your youtube channel যেটা আপনি চাইছেন।
- ব্লগ থেকে রোজগারের জন্য গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল এর নিয়মাবলী।
- কিভাবে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর বৃদ্ধি কিভাবে ভালো যায়গাতে নিয়ে যাবেন। How to grow your youtube channel in 6 month’s.
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রাথমিক ধারানা – Digital Marketing Concept Bangla
- অনলাইন রোজগারের প্রধান বাধা গুলি কি কি ? Main problems of online income
- ব্লগ্গিং কি এবং কিভাবে আপনাকে রোজগারের পথ দেখাবে ?